সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জন্য মাইকে প্রচারণা চালানোসহ পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী সচেতনতাসহ অযথা ঘুরে বেড়ালে জরিমানা এবং শাস্তি দিলেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না।
অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে সামাজিক দূরত্ব বিঘিœত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা গেছে, নিউ মার্কেট, শহীদ সাটু হল মার্কেট, শিল্পকলা মার্কেটের প্রধান গেট বন্ধ রেখে প্রায় সমস্ত দোকান সকাল ৭টা থেকে খোলা রাখা হচ্ছে। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে অনেকেই দোকানের সাঁটার গেট ফেলে রেখে খদ্দেরের অপেক্ষায় বাইরে বসে থাকছে।
এছাড়া শহরের পুরাতন বাজার, দাউদপুর রোড, হুজরাপুর, শিবতলা, মিস্ত্রীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট খোলা রাখা হচ্ছে এবং সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছে বেচাকেনা। অন্যদিকে রিকশায় একজন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুই জনের বেশি যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকলেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রিকশায় দুই-তিনজন এবং অটোরিকশায় ৭/৮জন বহন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে একটি মোটরসাইকেলে ৩ জনকেও অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশে কোন দুর্যোগ আসেনি এবং সবকিছুই যেন স্বাভাবিক চলছে। একই অবস্থা জেলার সবত্রই। জেলার নাচোল, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলায় ঘর বিমুখ মানুষ বাইরে বের হয়ে আসার প্রতিযোগিতায় শামিল হচ্ছে। সেখানে যানবাহনও চলাচল করছে অত্যাধিক।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম খান বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারপরও মানুষের সচেতন না হওয়া দুঃখজনক। তবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং আগামীও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন