মানবিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন লাকসামের মানবিক নারীনেত্রী পড়শী সাহা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে কোন প্রকার ফটোসেশন ছাড়াই তিনি সমাজের কমপক্ষে পাঁচটি পেশাজীবী মানুষকে নিরবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও অসংখ্য মানুষকে ইফতার সামগ্রী উপহার দিচ্ছেন। তাঁর এমন মানবিকতা সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছে।
পড়শী সাহা লাকসাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কর্মগুণ ও জনবান্ধব নারীনেত্রী হিসেবে তিনি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মন জয় করে চলেছেন।
সাম্প্রতিক জানা গেল তাঁর মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্তের কথা। ব্যক্তিগত অর্থায়নে তিনি সমাজের কমপক্ষে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে অনেকের বাসা-বাড়িতে গোপনীয়তা রক্ষা করে ‘মানবিক উপহার’ পৌঁছে দিচ্ছেন। মানবিক সহায়তায় তাঁর বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রকাশ্যে কাউকে সহায়তা করে সম্মানহানি করছেন না। থাকছে না কোন ফটোসেশনও। মানুষের সামাজিক মর্যাদাকে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে মানবিক এ নেত্রী ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় পাঁচশ’ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবিক সহায়তা নিয়ে।
পড়শী সাহা বলেন, সৃষ্টিকর্তার সেরা জীব মানুষ। মানুষের মধ্যে মানবিকতা আছে, বিবেকবোধ আছে, হিতাহিত জ্ঞান আছে, ভালো-মন্দ যাচাই করার সক্ষমতা আছে, যা ভিন্ন কোনো জীবের মধ্যে নেই। প্রতিটি মানুষেরই সামাজিক মর্যাদা আছে। মর্যাদাসম্পন্ন এমন অনেক অসংখ্য মানুষ চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে নিরবে কাঁদছে। আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি, তাদের মধ্যে অনেকে আছেন শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও তারা সরকারি-বেসরকারি অনুদানের জন্য সাহায্য চান না। আবার অনেকে আছেন ফটোসেশনের লজ্জায় উপহার সামগ্রী নিতে চান না। এ বিষয়গুলো আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সৃষ্টিকর্তা যতদিন সামর্থ রাখেন ততদিন কোন প্রকার ফটোসেশন ছাড়াই মানুষকে সহযোগিতা করে যাব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল