প্রায় দুই মাস পর রাত থেকেই নদীতে নেমেছেন ভোলা উপকূলের জেলেরা। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের মৎস ঘাট। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের। নদী থেকে মাছ আসছে আড়তে। সেখানেই চলছে কেনা-বেচা। তবে নদীতে এখন এই সময়ে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়ৎদাররা।
এক আড়ৎ মালিক জানান, মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারেই এসব মাছ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাই ভোলার বাইরের জেলায় ইলিশ বিক্রি নিয়ে চিন্তিত তারা।
জেলেদের আহরণকৃত এসব মাছ আড়তদার, পাইকার ও ব্যাপারীদের হাত ঘুরে স্থানীয় বাজারে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকেই ইলিশ পাচ্ছেন ভোক্তারা। অন্যদিকে বরফ কলগুলোতেও বরফ উৎপাদন শুরু হয়েছে, বাড়ছে অর্ডার।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ইলিশের কেনা-বেচা করছেন বলেও জানান আড়তদাররা। তারা বলেন, সবাই নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করে মাছ কেনা-বেচা করছেন।
মৎস্য ঘাটগুলোতে মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় দামও অনেক বেশি। বড় সাইজের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০০ হাজার থেকে ৪৮০০ টাকা দরে, মাঝারি সাইজের ইলিশ ২২০০-২৫০০ টাকা, ভেল্কা সাইজের মাছ ১২ টাকা এবং ঝাটকা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। মাছের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি বলে মনে করছেন আড়তদাররা।
চরফ্যাশন মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, দু'মাসে নদীতে মাছের অভিযান আমাদের সফল হয়েছে, আমরা মনে করছি, ইলিশের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে। এ বছর আমাদের ভোলা জেলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্র ছিলো এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল