ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিরামপুরের কৃষক নূরু মিয়ার সোয়া ২ কানি জমির ফসল পুরোটাই নষ্ট হয়েছে ব্লাষ্ট রোগে। ওই এলাকার আরো অনেক কৃষক কমবেশী ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
নূরু মিয়া জানান, ৪০ মন ধান পাওয়ার আশা ছিলো তার। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার প্রায় ১৩৪ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে ব্লাষ্ট ও রেইনস্পটে। লকডাউন শুরুর দিকে কীটনাশকের দোকান বন্ধ থাকায় ঠিক সময়ে জমিতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে ব্যর্থ হন কৃষকরা। ফলে ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ’ হন তারা।
জেলায় চলতি মৌসুমে ১লাখ ১২ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে ইরি ও বোরো ধান চাষ হয়। এরমধ্যে ১৩৪ হেক্টর জমির ফসল ছত্রাক ঘটিত এ রোগে আক্রান্ত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদার বলেন, যে ফসল আক্রান্ত হয়েছে তা খুবই সামান্য পরিমান। এমন রোগব্যাধি প্রতিবছরই থাকে। তাছাড়া এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। হঠাৎ করে লকডাউন শুরু হয়। এর প্রথম দিকে কয়েকদিন কীটনাশকের দোকানপাট বন্ধ ছিলো। ফলে ওই সময়টাতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে না পারায় কিছু ফসল আক্রান্ত হয়েছে। আবার কৃষকরা দমনও করেছেন। ফলে জেলায় পুরোপুরি ৫০ হেক্টরের বেশী ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল