বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুল হান্নান (৪৫) নামে এক বক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ আইসোলেশন কেন্দ্রের বাহিরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে জানাযা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
এই আইসোলেশন কেন্দ্র্রে এখন ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি ১১ জন নিজ নিজ বাড়িতে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বগুড়ায় সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মৃত আব্দুল হান্নান জেলার গাবতলী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের মৃত ফজেক আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তিনি প্রথমে অসুস্থ অবস্থায় শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে এক্সরে রিপোর্টে চিকিৎসকরা তার দুই পাশে নিউমোনিয়া দেখতে পান। এরপরই তাকে রাত ১২টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
এ নিয়ে বগুড়া আইসোলেশনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হলো। করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়। এর মধ্যে একজনের মৃত্যুতে বর্তমানে মোট ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। জেলায় মোট ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, আইসোলেশন কেন্দ্রের বাহিরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে মৃত ব্যক্তির জানাযা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তিনি নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস ও মস্তিকে রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি হয়। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার বাড়িটি লকডাউন করে রাখার কথা বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন