বগুড়ার শাজাহানপুরে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া সালমা বেগমের (২৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রথমে ধর্ষণ তারপর তাকে হত্যা করে সালমার সাবেক স্বামী সোহেল সাকিদার (৩০)। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পশ্চিম আশেকপুরের ধানক্ষেত থেকে ছাইদুজ্জামান খাঁর সদ্য তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে সালমা বেগমের (২৫) নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশ্ববর্তী একটা ব্যাগ ফ্যাক্টরীতে কাজ করা সালমা বেগম ও তার দুই সন্তানসহ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে সড়ক বিভাগের জায়গায় ঘর বানিয়ে থাকতো।
বগুড়া জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে তাকে ধর্ষণের পর ওড়না পেচিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় মামলার নিবিড় তদন্ত শুরু করা হয়। নিহত সালমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সালমার সাবেক স্বামী সোহেল সাকিদার তাকে উত্যক্ত করত এবং বিভিন্ন সময়ে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। বিশ্লেষন করে দেখা যায় সাম্প্রতিক সময়ে সালমার সঙ্গে শহরের কলোনি এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। সে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আটক করার পর সে জানায় তার মোবাইলটি কয়েকদিন আগে হারিয়ে গেছে। তখন তদন্তকারী দল উচ্চতর তদন্ত কৌশল ব্যবহার করে সেই মোবাইল ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করলে দেখা যায় তিনিউ সালমার সাবেক স্বামী সোহেল।
তিনি আরও জানান, সোহেলকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীসময়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, নতুন সিম দিয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে সে সালমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে ২৭ তারিখ রাত দশটার দিকে বাড়ির বাইরে ডেকে আনে। চিনতে পেরে ফিরে যাবার চেষ্টা করলে সোহেল গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে ধর্ষণ করে এবং খুন করে চলে যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল