বগুড়ায় লকডাউন থাকলেও সেটি অনেকেই মানছে না। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই মানুষ আসছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনেকেই থাকছেন শহরে। বিভিন্ন প্রয়োজনের কারণেই শহরে এখন আগের থেকে কিছুটা হলেও ভিড় বেড়েছে।
মোটরসাইকেল, রিকশা, প্রাইভেটকার, অটো চার্জারের যানবাহনের উপস্থিতি আগের চেয়ে বেড়েছে কয়েক গুণ। বগুড়া সদর থানা পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এসব মানুষ ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা। শহরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ মানুষদের ঘরে ফেরাতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উত্তরের বাণিজ্যিক নগরীখ্যাত বগুড়া শহর। প্রতিদিনই বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ এই শহরে আসে।
শহরের সাতমাথা, থানা রোড, বড়গোলা, নবাববাড়ী এলাকায় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে লোক সমাগম এখন অনেকটা কম। তবু নানা কারণে সকাল থেকেই যানবাহনসহ মানুষের ভিড় থাকে বড়গোলাসহ থানা রোডে। শহরের সাতমাথা এলাকায় বাজার বসানোকে কেন্দ্র করে আরো যেন ভিড় বাড়ছে শহরে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ মানুষদের ঘরে ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। অযথা বাহিরে থাকা লোকজনদের ঘরে থাকার আহবান জানানো হচ্ছে।
লোকসমাগম কাটাতে প্রতিদিনই শহরের বড়গোলা, থানা রোড, সাতমাথাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিকাল পর্যন্ত কাজ করছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম বদিউজ্জামানসহ থানার পুলিশ কর্মকর্তরা। হ্যান্ড মাইক নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন আর সাধারণ মানুষকে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করছেন। অপ্রয়োজনে যান চলাচলও নিষেধ করে দিচ্ছেন। মানুষদের ঘরে ফিরতে আহবান জানাচ্ছেন। তিনি করোনা মোকাবেলায় সচেতন থাকা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছেন পথচারীদের। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারনা অব্যহত রেখেছেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, সাধারণ ছুটির মেয়াদ বেড়েছে। এই সময়গুলোতে আমরা সকলে মিলে একটু ধৈর্য্যরে পরিচয় দিই তাহলে বগুড়া সুরক্ষিত থাকবে। করোনা মোকাবিলায় আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক থাকলে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা মেনে চলতে সবার প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। সে কারণে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সদস্যরা সকাল থেকে সাধরণ মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে ফিরে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনের বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন