গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার দশ টাকা কেজি চাল বিক্রিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে কার আগে কে চাল কিনবে সেই চেষ্টা করছেন ক্রেতারা। কেউ মানছেনা সামজিক দূরত্ব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে ১৮০০ নারী-পুরুষ চাল ক্রয় করছেন। আজ সোমবার দুপুরে সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরদার নুরুল ইসলাম ডিলার'র মাধ্যমে চাল বিক্রি হচ্ছে। তবে সেখানে দশ টাকা কেজি চাল বিক্রিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে কার আগে কে চাল কিনবে সেই চেষ্টা করছেন ক্রেতারা। চাল বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বার বার বলার পরেও ব্যর্থ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি পরিস্থিতিতে এই দৃশ্যে আতঙ্কিত অনেকে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মতো কালিয়াকৈরও অসহায় ও খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকা কেজিতে (ওএমএস) চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকেরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে, নিজের মোবাইল ফোন নাম্বার ডিলারের খাতায় লিখে দিয়ে প্রতিজন দশ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন।
এদিকে, দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও চাল নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো তা মানছেন না। হোসেন আলী নামে একজর জানান, দূরত্ব বজায় রাখলে মাঝখানে আরেকজন লাইনে ঢুকে যায়। তাই এভাবে দাঁড়ানো।
৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের ডিলার সরদার নুরুল ইসলাম জানান, আজকে চাউল দিতে একটু দেরি হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সামনে থেকে আর সমস্যা হবে না। দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা খুব চেষ্টা করছি লোকজনকে দূরত্ব বজায় রেখে চাল দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কোনওভাবেই মানছেন না।
কালিয়াকৈর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ মোকিতুল হাসান জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও লোকজন কোনওভাবেই মানছে না। কিছু সময়ের জন্য একটু ফাঁকা হলেও আবার একজন আরেকজনের সঙ্গে লেগে যায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই কাজ বাস্তবায়ন করা কঠিন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ