২৫ মে, ২০২০ ১৮:২৪

হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ, মুহূর্তে ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা :

হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ, মুহূর্তে ভাইরাল

অন্য রকম এক ঈদের জামাত দেখলো আম্ফান বিধ্বস্ত উপকূলের মানুষ। সোমবার খুলনার কয়রায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করলো গ্রামবাসী। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়রার বিস্তির্ণ এলাকা লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে হাজার বিঘা জমির ফসল, সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে মাছের ঘের-পুকুর। এবার সেই লবণ পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই সাধারণ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করলো। এদিকে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। 

জানা যায়, গত ২০ মে আম্ফানের আঘাতে কয়রার বেড়িবাঁধের ২৪টি পয়েন্ট ভেঙে লবণ পানিতে বাড়িঘর, জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এখানকার মানুষ বাঁচার তাগিদে নিজেরাই এখন বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছেন। সোমবার বাঁধ মেরামতের এক পর্যায়ে কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের পশ্চিম পাশে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামসহ গ্রামবাসী। নামাজে ইমামতি করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিন। অপরদিকে, বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে পানির মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করেন আরও কয়েক গ্রামের মানুষ। এখানে ইমামতি করেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির।

ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, কয়রার মানুষ বাঁধ মেরামত না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। বাঁধ আটকাতে না পারলে লোনা পানির মধ্যে বসবাস করা কঠিন হবে। কয়রার মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, বাঁধ চায়। তাই সবাই মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আইলার পর থেকে এ জনপদের মানুষ বেড়িবাঁধ নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছে। আম্ফানের আঘাতে সেই যুদ্ধ আবার নতুনভাবে শুরু হলো। তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে জোয়ারের আগ পর্যন্ত আংশিক বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। মঙ্গলবার আবারো মেরামত করা হবে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে কয়রার মানুষকে এত ভোগান্তি পোহাতে হত না। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর