২৯ মে, ২০২০ ১৬:৪১

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৫২টি ডিম দিয়েছে কুমির জুলিয়েট

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৫২টি ডিম দিয়েছে কুমির জুলিয়েট

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে লবণ পানি প্রজাতির কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম দিয়েছে। 

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের কুমির প্রকল্পের পুকুর পাড়ে এ ডিম দেয় কুমির জুলিয়েট। এবার নিয়ে জুলিয়েট ডিম দিয়েছে মোট ১৫ বার। এর আগে গত বছর জুলিয়েট ৪৪টি ডিম পাড়লেও ৩ বছর জুলিয়েট ও পিলপিলের ডিম থেকে কোন বাচ্চা জন্ম নেয়নি এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রে। এবার তাই রোমিও নামের বয়স্ক পুরষ কুমিরটিকে সরিয়ে এক বছর আগে জুলিয়েট ও পিলপিরের সাথে একই পুকুরে রাখা হয় আলেকজান্ডার নামে নতুন একটি যুবক কুমিরকে। এবার এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটবে বলে আশা করছে বন বিভাগ। 

সুন্দরবনের চাঁদপই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাদ কবির জানান, আজ (শুক্রবার) সকালে কুমির প্রকল্পের পুকুর পাড়ে জুলিয়েট ৫২টি ডিম পাড়ে। এরপর ডিমগুলো সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে ১৪ টি ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য জুলিয়েটের ডিম পাড়ার বাসায়, ২৬টি পুরাতন ইনকিউবেটরে আর ১২টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। আগামী ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এ ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে। আশা করছি অন্য মা কুমির পিলপিলও কয়েক দিনের মধ্যে ডিম পাড়বে।
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বর্তমানে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৯৫ টি কুমির রয়েছে। এরমধ্যে জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুইটি নারী কুমির এবং আলেকজান্ডার নামে একটি পুরুষ কুমির দিয়ে করমজলে কুমিরের প্রজনন কার্যক্রম চলছে। 

সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যেই ২০০০ সালে করমজলে এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি চালু করে বন বিভাগ। ইতিমধ্যেই এ প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক ৯৭টি কুমির সুন্দরবনের নদ-নদীতে অবমুক্ত করেছে সুন্দরবন বিভাগ। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর