দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। কনের বাবা ও বরকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর কনের বাবার কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেন না মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয় বলে জানা যায়।
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউপির রাণীপুর মালুয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও রাণীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিবাহ বন্ধ করে দিলেন চিরিরবন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরতিজা হাসান। বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে তিনি কনের বাড়িতে হাজির হন।
চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে বাল্য বিয়ে হচ্ছে। সেখানে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আব্দুস সামাদের পুত্র আমিনুল ইসলাম (২৬) এর সঙ্গে ওই নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের ১ হাজার টাকা জরিমানা, কনের বাবা শহিদুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে উভয়কে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।বিডি প্রতিদিন/আল আমীন