কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়ালো। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও একজন নারী। আজ শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত পাঁচটি রিপোর্টের মধ্যে চারটিই পজিটিভ আসে।
স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগের করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ৩৮৩টি। তাদের মধ্যে নতুন চারজনসহ সর্বমোট ১৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। অন্য রিপোর্ট সমূহের ফলাফল নেগেটিভ।
আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। অন্যদের আইসলোশানে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে এ পর্যন্ত কেউ করোনায় মারা না গেলেও উপসর্গ নিয়ে উপজেলার ভোগই গ্রামের মফিজুল ইসলাম (৬৫) নামক চট্টগ্রাম ফেরত এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এখনো তার নমুনার রিপোর্ট না আসায় মারা যাওয়ার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নতুন চারজন আক্রান্তের মধ্যে উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের পোমগাঁও ও ঝলম গ্রামের দুই যুবক, ঝলম উত্তর ইউনিয়নের চোরাইশ গ্রামের এক নারী এবং খিলা ইউনিয়নের দিশাবন্দ গ্রামের এক যুবক রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম তাদের বাড়ি লকডাউন করে আইসলোশানে নিয়ে তাৎক্ষনিক তাদের চিকিৎসা শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরীসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের র্যাপিড রেসপন্স টিমের ৯ জন নমুনা সংগ্রহের সময় করোনা আক্রান্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান তাদের সংস্পর্শে আসায় সকলকেই বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে। তবে ইউএনও ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কোয়ারেন্টাইনে থেকেও তাদের রুটিনমাফিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী নতুন চারজনের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, উপজেলাবাসীর যে কোন প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ