দিনাজপুরের শশরা ইউপির চৌঘরিয়া, উত্তর চকমধু, চকমধু, মহতুল্লাপুর, খুনিয়াপাড়া, ফুলতলাসহ ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের শহরে যাতায়াতের রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে খানাখন্দে ভরে গেছে। এই রাস্তার পাশে রয়েছে ঈদগাহ মাঠ, যুব উন্নয়ন অফিস সংলগ্ন সরকারপুকুর কবরস্থান। দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের এই রাস্তাটি শুকনা মওসুমে চলাচলের চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাকাকরণ না করায় বর্ষার সময়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এরপরেও মানুষ চরম দুর্ভোগ সহ্য করে চলাচল করছে। ওইসব এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী রাস্তাটি পাকাকরন করা হউক। এই দাবী নিয়ে শত শত মানুষ মানববন্ধনও করেছে। কিন্তু দুর্ভোগ আজও কাটেনি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দিনাজপুরের শশরা ইউপিতে কাসিমপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর র্যাব ক্যাম্পের পাশ হতে চকমধু কাগজিয়াপাড়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এই রাস্তাটি দিয়ে চৌঘরিয়া, উত্তর চকমধু, চকমধু, মহতুল্লাপুর, খুনিয়াপাড়া, ফুলতলাসহ ৭টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দিনাজপুর শহরে যাতায়াত করে। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরাও কাসেমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাসেমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কাসেমপুর মাদরাসাসহ দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। পুরো রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে সৃষ্ট গর্তে চলাচল করা যায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় ট্রাক, ট্রাক্টর, অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন গর্তে পড়ে যায়। এতে অনেকে আহত হন। বিশেষ করে কোন রোগি অথবা গর্ভবর্তী মাকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের অবস্থা আরো অবনতি হয়ে পড়ে। এছাড়া কোন মৃত মানুষকে দাফন করার জন্য খাটিয়া নিয়ে চলাচল করাও খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব গ্রামের মানুষকে।
এই রাস্তাটি নির্মাণে ২/৩বার টেন্ডার ও বাজেট পাশ হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা নেফাতুল্লাহর দুই ছেলে হাসান আলী ও হামিদুর রহমান নিজ বাড়ীর সামনের ৬০/৭০ ফিট জায়গা নিজেদের বলে দাবী করে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। রাস্তার কাজ বন্ধে একটি মামলাও করেছেন তারা। ফলে বর্তমানে রাস্তা পাকাকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসীরা।
এদিকে, রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ কাজ করতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকসহ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম ডন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মান্নান, সাজু, মানিক, আজাদ, আইনুল হক, আমিনুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, রেজাউল ইসলাম, শাহ আলম, লিটন, মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার