১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে বীরত্বের সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন মিজানুর রহমান। তবে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আজও তিনি যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পালগাঁও গ্রামের ৬৩ বছর বয়সী এই যোদ্ধা ১১নং সেক্টরের কাদেরিয়া বাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য জেনারেল এমএজি ওসমানীর স্বাক্ষর করা সনদপত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার এক বছর পরও তাঁর ভাগ্যে জুটেনি মুক্তিযোদ্ধের সনদ বা স্বীকৃতি।
জানা যায়, মিজানুর রহমান সংসার চালাতে স্থানীয় একটি ধানের মিলে নৈশ প্রহরীর কাজ করছেন। স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এক অফিস থেকে অন্য অফিসে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছেন কাজের ফাঁকে। মিলছে না সাফল্য, পাচ্ছেন না স্বীকৃতি।
সম্প্রতি এই বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মুক্তিযোদ্ধের তালিকায় নাম উঠানো ও গেজেট প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছিলেন। সে আবেদনের পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তার আবেদনটি যাচাই বাছাই করতে ভালুকার নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু সেটাও এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
মিজানুর রহমান জানান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বইতে ৬০৫ নং ক্রমিকে আমার নাম লিপিবদ্ধ আছে। আমি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছি। আমার জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ও ১১নং সেক্টরের অধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত সদনপত্র রয়েছে। সকল কাগজপত্রাদী থাকার পরও এখনো আমার নামটি গেজেটে আসে নাই।’
ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মাসুদ কামাল জানান, মামলা সক্রান্ত জটিলতায় যাচাই বাছাই কমিটি এখনো অনুমোদন হয়ে আসে নাই। মিজানুর রহমানের করা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন আমার কাছে আসছে। আমি ওনাকে ডেকে এনে ওনার ব্যাপারে সিদান্ত নিব।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল