শেরপুর সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে- এমন অভিযোগ করেছে মৃতের স্বজনরা। মৃত ওই রোগীর নাম দুলাল চৌধুরী (৭০)। দুলাল চৌধুরী শেরপুর শহরের বাগরাকসা এলাকার বাসিন্দা এবং ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাষকষ্টে ভুগছিলেন দুলাল চৌধুরী। তিন চারদিন যাবত রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে বাসায় রাখা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার রোগীর অবস্থা খারাপ হলে দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাকে ভর্তির উদ্দেশ্যে নিয়ে এ্যাম্বলুন্সে হাসপাতালে আনা হয়। হাসাপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে আসা হলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এ সময় অনেক ডাকাডাকির করে ডাক্তার বা হাসপাতালের কোন লোক পাওয়া যায়নি।
মৃতের ছেলে পিটার চৌধুরী ও ভাগিনা আসাদুজ্জামান মনির মাষ্টার জানিয়েছে, রোগীকে এক নজর দেখার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। আধা ঘন্টায় ৪-৫ জন রোগীর স্বজন চিৎকার দৌড়াদৌড়ি করেও কাউকে পাইনি। অবশেষে আধাঘন্টা পরে রোগী মারা গেলে ওই এ্যাম্বুলেন্সে করে দুলাল চৌধুরির লাশ বাড়ীতে আনা হয়। রোগী জীবিত না মারা গেছে তাও কেউ দেখে বলেনি। পাওয়া যায়নি মৃত্যুর সনদ। স্বজনদের অভিযোগ বিনা চিকিৎসায় দুলাল চৌধুরী মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফের দাবি, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। যেহেতু রোগী মৃত ছিল তাই চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন পড়েনি। তারপরেও অভিযোগ করলে তদন্ত করে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার