করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের ১১ দিন অতিবাহিত হলেও মিলছে না করোনা টেস্টের রিপোর্ট। আর যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় ওই ব্যক্তিরা নমুনা দেয়ার পর হাটে-বাজারে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
খানসামা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ও করোনা সন্দেহভাজন ৩০ জনের নমুনা গত ১১ জুন ও ৬২ জনের নমুনা গত ১৩ জুন সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও বিগত ১১ দিনেও এসব পরীক্ষার ফলাফল হাতে পায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্টর ফল দেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ২৪ ঘণ্টার বদলে ১১ দিনেও টেস্টের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সেবা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২২ জুন পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনার সংখ্যা ৪৪৭ এবং প্রকাশিত রিপোর্টের ফলাফল ৩১০। আর এখন পর্যন্ত উপজেলায় করোনা পজিটিভ ব্যক্তির সংখ্যা ২৮ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৬ জন।
এবিষয়ে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু রেজা মো. মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবের পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা থেকে দিনে দিনে নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফল আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নতুন করে চাহিদা অনুযায়ী আরো পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হলে এই সমস্যা দূর হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন