নরসিংদীর মাধবদীতে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করেছে মাদকসেবী সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কারখানার ভিতরে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হানিফ মোহাম্মদসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিন পর পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে মামলা নিতে বাধ্য হয় মাধবদী থানার ওসি।
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলা নিতে বিলম্ব ও আসামিদের এখন পযর্ন্ত গ্রেফতার না করায় মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান এর প্রত্যেহার চেয়েছেন নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ শে জুন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছোট গদাইরচর এলাকায় মিতালী সাইজিং মিলের নিজস্ব বাউন্ডারিকৃত একটি জমির ভিতরে প্রবেশ করে ১০ থেকে ১৫ জন মাদকসেবী মাদক সেবন করছিল। মিল কর্তৃপক্ষ ঘটনা শুনে মাদক সেবীদের মাদকসেবনে বাধা প্রদান ও নিষেধ করেন। এ নিয়ে মাদকসেবীদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এরই জের ধরে সন্ধ্যার পর মাদকসেবীরা মিলের ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হানিফ তার ভাতিজা রকিবুল হাসান উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মোহাম্মদ হানিফ এবং রকিবুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মিলের ম্যানেজার অমলেন্দু গুন চৌধুরী, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোস্তফা, শ্রমিক আব্দুল মান্নান, সাজু আহমেদ আহত হয়। সিসি টিভি ফুটেজ এ হামলা ও মারপিটের ঘটানাটি স্পস্ট ধরা পরে। পরে হামলার ফুটেজ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে হানিফ মোহাম্মদ বাদি হয়ে মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পাঁচ দিন পযর্ন্ত আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। পরে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশিরসহ ব্যাবসায়ীরা নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে জানান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এদিকে হোম আইসোলেশনে থাকায় মামলায় ও আসামি গ্রেফতারের বিলম্বের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান। বিষয়টি পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল