ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।
আজ সকালে (শনিবার) সুরমা নদীর পানি সুনামঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় জেলার ৮৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩ টি ও ৪ পৌরসভার ১৮ ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, চলাচলের রাস্তা পানি নিচে তলিয়ে যাওয়া জেলা সদরের সাথে তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।
বন্যা দুর্গত এলাকায় জরুরি ত্রাণ বিতরণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বানবাসী মানুষ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমার ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে। ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দি। তাদের অনেকে এই মুহূর্তে ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার প্রদান করা জরুরি।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ১১টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলার সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি অবহিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন