কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৭৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাঁধ, রাস্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
বুধবার রাতে জেলার রৌমারী উপজেলায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে রৌমারী উপজেলা পরিষদসহ শহরে পানি ঢুকেছে। ফলে সেখানে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো ১২টি গ্রাম। গত ২৪ ঘন্টায় পানিতে ডুবে রাজিবপুরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত দু’দফা বন্যায় ১০ জন শিশু, একজন যুবক ও ২ জন বৃদ্ধসহ ১৩ জন পানিতে পানিতে ডুবে মারা গেলো।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এদিকে, গত ২৪ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি কমলেও এখন বিপদসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও অনেকেই তা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
তবে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বরাদ্দকৃত ৪০০ মে. টন চাল,১১ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলা পর্যায়ে প্রদানের জন্য ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার