শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ক্রমেই বাড়ছে। এতে শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষমারী ও বলায়েরচর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে চরমুচারিয়া ও চরশেরপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামেও পানি ঢুকা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ওই সব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার কারণে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়ারদোকান ও শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শেরপুর-জামালপুর হয়ে উত্তরবঙ্গের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যায় পাট খেত ও আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে মৌসুমি সবজীর আবাদ। চরপক্ষীমারীর কুলুচর ব্যাপারী পাড়া ও নতুনচরের তিন শতাধিক পরিবার জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে শেরপুর সদর উপজেলার তালুকপাড়া গ্রামের সড়কটি মৃগী নদীর ভাঙনে ভেঙে যাচ্ছে।ব্রহ্মপুত্র নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে নকলা উপজেলার দক্ষিণ নারায়ণখোলা গ্রামের একাংশ। নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় ইতোমধ্যেই নারায়ণখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শেরপুর-জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি আবু সাঈদ জানিয়েছেন, ক্রমাগত পানি বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি বেড়েছে ৭ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে। যেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা দরকার সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে।বাকিটা পানি শুকানোর পর বোঝা যাবে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, পানি বাড়ছে-আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সদর উপজেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার এখন ১২ টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে, আগামীকাল থেকে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন