বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে। আজ রবিবার সকালের জোয়ারের সময় নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলের জোয়ারের সর্বোচ্চ লেভেলের ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
চলতি জোয়ারে আর নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
এর আগে গত এক সপ্তাহ ধরে কীর্তনখোলাসহ বরিশালের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়। গত কয়েকদিন ধরে বিকেল ৪টার মধ্যে যেসব সড়ক-এলাকা নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেত গতকাল বিকেলে সেসব এলাকা নতুন করে আর প্লাবিত হয়নি।
তবে ড্রেন-খালগুলো সংকুচিত হওয়ায় জোয়ারের উপচে পড়া পানি নদীতে নামতে পারছে না। এ কারণে নগরীর নবগ্রাম রোড মনসুর কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও আটকে আছে জোয়ারের পানি। নতুন করে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত না হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীর মাঝে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২০ বছরের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কীর্তনখোলা নদীর পানি সর্বোচ্চ লেভেল (২.৫৫ সেন্টিমিটার) অতিক্রম করে ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত শুক্রবার সকাল ৯টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, শনিবার সকাল ৮টায় বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার এবং আজ রবিবার সকাল ৮টায় বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তবে আজ বিকেলে নদীর পানি আর বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। বিপৎসীমার (২.৫৫ সেন্টিমিটার) ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ২.৪২ সেন্টিমিটার লেভেল দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর