বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান নোহার (৯) হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার স্থানীয় বাগধা-সাতলা সড়কের খাজুরিয়া ঈদগাহ্ মসজিদের সামনে ‘খাজুরিয়া যুব সমাজের’ ব্যানারে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বজলুল হক মন্টু, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা, আলমগীর মিয়া, স্থানীয় আ.সত্তার মিয়া, হাবিবুর রহমান, ছলেমান মিয়া ও হারুন খন্দকার সহ অন্যান্যরা।
শিশু নোহার বাবা সুমন মিয়া, সৎ মা ঝুমুর বেগম, দাদা আব্দুল রহিম মিয়া, ফুফু লিপি বেগমসহ নিকট স্বজন এবং স্থানীয় দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। সার্বিক নিরাপত্তায় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ এ সময় উপস্থিত ছিল।
মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে ওই সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলেও একই দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার স্থানীয় খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান নোহার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে তার স্বজনরা। স্কুলের পরীক্ষায় নোহা কম নম্বর পাওয়ায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রাগে ক্ষোভে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে তার বাবা সুমন মিয়া।
এই অভিযোগে পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর সুমন মিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে দারুল ফালাহ্ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে শিক্ষক শফিকুল পলাতক রয়েছে।
এদিকে নোহার মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদীর সাবেক স্বামী ও নোহার বাবা সুমন মিয়া (৩৫), সুমনের চতুর্থ স্ত্রী ঝুমুর জামান (২৬) ও সুমনের বোন লিপি বেগমকে (৩৮) আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে শিশু নোহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায় বলে মামলায় অভিযোগ করেন তানিয়া বেগম।
আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তার নোহার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা এবং ওই সময় পর্যন্ত নথির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই