কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক দিনমজুর পরিবারে সদ্য জন্ম নেওয়া তিন সন্তানকে অভাবের কারণে দত্তক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দম্পতি। তাদের পরিবারে আরো ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। ফলে এখন তারা ৮ কন্যা সন্তানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন নওদাপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর বড় মেয়ে ফাতেমার সাথে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের দিনমুজুর সাইফুর রহমানের বিশ বছর আগে বিয়ে হয়। একে একে ফাতেমা পাঁচ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বড় কন্যাকে এক বছর আগে বিয়ে দেন। বাকি ৪ কন্যা এখন বিভিন্ন শ্রেণিতে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।হতদরিদ্র পরিবারে ৫ মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটলেও একটি ছেলে সন্তানের আশায় আবারও সম্প্রতি একসাথে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ফাতেমা। এখন বর্তমানে তিনি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। কিন্তু তার দরিদ্র মা রহিমা বেগম মেয়ের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করলেও সু-চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
এদিকে, ফাতেমা অসুস্থ হয়ে এক সপ্তাহ যাবত সেখানেই রয়েছেন। ফাতেমার মা রহিমা বেগম জানান, তিন শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও ফাতেমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
জনৈক শিক্ষক মেহের আলী জানান, ছেলের আশা করলেও একসাথে ফাতেমা ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় চরম বিপাকে পরেছে পরিবারটি। তার স্বামীও নাখোশ।অনেকটা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। এতগুলো সন্তানের ভরণ পোষণ দিতে না পারার কারণে ৩ কন্যাকে দত্তক দেয়ার কথা চিন্তা করে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়া হয়।
ফাতেমার স্বামী সাইফুর রহমান বলেন, 'আল্লাহ যা করছে ভালো হইছে। কখনও কামলা (দিনমজুরি) দিয়া আবার কখনও শাক-শবজি বিক্রি করি সংসার চালাই। কষ্ট করি হইলেও বাচ্চাদের মানুষ করার চেষ্টাতো করা খাইবে।'
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে ফাতেমার জন্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল