নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রধান সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সেগুলোর অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তবে মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা এসে পাকা রাস্তার উপরে ও ভাঙা স্থানে ইট, বালি ও খোয়া দিয়ে গেলেও তা তেমন কাজে আসছেনা। কয়েকদিন পরেই আবার যা ছিলো তাই হয়ে যায়।
তাই তাদের দাবি দ্রুত রাস্তাগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ওয়ালিয়া-লালপুর সড়কের ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় মেইনটেন্সের কাজ চলছে। উপজেলা থেকে জেলা সদর নাটোরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়ক, লালপুর-ওয়ালিয়া, গোপালপুর-বাগাতিপাড়া সড়ক, লালপুর-বাঘা সড়ক, লালপুর-ঈশ্বরদী সড়ক যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে প্রায়ই গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ী উল্টে কাদা পানিতে পড়ে থাকার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি এখনও। সড়কের কোথাও কোথাও অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইট বিছিয়ে ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নিম্নমানের ইটের কারণে গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে। আবার খরা হলে তা ধুলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে। সড়কের অবস্থা আবার আগের মতই হয়ে যাচ্ছে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘ওয়ালিয়া-লালপুর সড়কে বর্তমানে মেইনটেন্স এর কাজ চলমান রয়েছে। তবে রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের জন্য নাটোর জেলা সড়ক প্রকল্পের মধ্যে প্রস্তাবনা দেওয়া আছে পাশ হলে রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে।’
এ বিষয়ে নাটোর-১ আসনের (লালপুর-বাগাতিপাড়া) সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, লালপুর-ওয়ালিয়া, ঈশ্বরদী-লালপুর বানেশ্বর ও লালপুর-বিলমাড়ীয়া সড়কের টেন্ডার হয়ে গেছে ঠিকাদাররা কার্যাদেশ হাতে পেলেই কাজ শুরু করবেন। এতে সড়কের কাজ শুরু হতে এক দেড় মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
