শিরোনাম
- কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার
- বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত
- বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করল নৌবাহিনী
- দিনাজপুরে বিএনপি'র সম্ভাব্য প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ
- সরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে আসন কমল
- বগুড়ায় পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন
- ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- বগুড়ায় ‘রাষ্ট্র সংস্কারের নবযাত্রা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও তিনটি গ্রাম দখল রাশিয়ার
- যেসব চুক্তি করতে ভারতে আসছেন পুতিন
- খাদ্য সংকটে লাখো বাংলাদেশিসহ ৪ কোটি আমেরিকান!
- সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
- সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট
- দ্বিতীয় বিয়ে করলেই সাত বছরের দণ্ড, আসামে মন্ত্রিসভায় বিল পাস
- স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর
- নাইজেরিয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২০০
- পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
- আশুলিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
- গাজায় সেনা পাঠাবে না আরব আমিরাত
- বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়
অন্তঃস্বত্তা আসামির প্রবেশনে মুক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মারামারির একটি মামলায় সায়মা খাতুন নামে ছয় মাসের এক অন্তঃস্বত্তা আসামি ও তার স্বামী জাকির হোসেনকে ব্যতিক্রমধর্মী সাজা দিয়েছেন রাজশাহীর একটি আদালত। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম ওই দম্পতিকে কারাগারে না পাঠিয়ে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনের শর্ত দিয়ে নিজ বাড়িতে প্রবেশনে থেকে সংশোধনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাদের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার ছোট নারায়নপুর গ্রামে। উভয়েই দিনমজুর এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণাকালে বিচারক বলেন, আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হলেও সায়মা অন্তঃস্বত্তা হওয়ায় মা ও শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অনাগত সন্তানের জন্ম পরিকল্পিত এবং নিরাপদ হওয়া আবশ্যক। বর্তমানে কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ কয়েদির বদ্ধ পরিবেশে বসবাসের কারণে করোনাকালে সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত দুরুহ ব্যাপার। এর প্রেক্ষিতে কারাগারে মা ও অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই আসামিদের অপরাধের ধরন, বয়স, অনাগত সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ প্রসব ইত্যাদি বিবেচনায় তাদের প্রবেশনের সুযোগ প্রদান করা সমীচীন। এই সুযোগের বিপরীতে আসামিদের আদালত কর্তৃক আরোপিত শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে; না মানলে আসামিকে অবশ্যই ছয় মাসের সাজা ভোগের জন্য জেলে যেতে হবে। আর শর্ত ঠিক মত পালন করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করবেন প্রবেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম।
প্রবেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, আসামি সম্পর্কে আদালতে আমরা একটি প্রাক-প্রতিবেদন পাঠাই। প্রতিবেদনে এটি তার প্রথম অপরাধ কিনা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা, প্রতিবেশীরা তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়। আদালতে প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত দেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর