নাটোরের লালপুরে ১৬ জন শিক্ষক মিলে একজন শিক্ষার্থীকেও পাস করাতে পারেননি। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ভবানীপুর দাখিল মাদ্রাসায়। এ বছর দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসাটি থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউই উত্তীর্ণ হয়নি। মাদ্রাসা কতৃপক্ষের দাবি, ২০০৫ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া এই মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হলেও পূর্বে ভালো ফলাফল করে আসছিল।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা সংখ্যায় কম নন। প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১৬ জন। কিন্তু পুরো বছরের পাঠদান শেষে এমন ফলাফল প্রশ্ন তুলেছে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ও শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে।
প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অবশ্য হতাশ নন। তিনি বলছেন, গত বছর সবাই পাস করেছিল। এবার হয়নি, এমন হতেই পারে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ফলাফল করে আসছে। গত বছর ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছিল। তারপরও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয় নি। এবার ১৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারেনি, এমনটা হতেই পারে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লালপুর উপজেলায় এসএসসিতে পাসের হার ৬৫.৬৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১১ জন। দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৪৮.৩৭ শতাংশ হলেও ভবানীপুর মাদ্রাসার ফলাফল শূন্য।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী মৃধা বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস না করা খুবই অস্বাভাবিক। কী কারণে এমন ফল হয়েছে, তা জানতে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ