৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:২৫

ধর্ষণ মামলার আসামিদের সহযোগিতা: পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ধর্ষণ মামলার আসামিদের সহযোগিতা: পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণ মামলার আসামিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ধুনট থানার এসআই আহসানুল হককে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে ধুনট থানা থেকে ক্লোজ করা হয়।

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) একই গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৬ জুলাই রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একাজে গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক বাবু ওই অপহরণকারীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা গত ১২ আগস্ট বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অপহরণকারী মাসুদ রানা ও ইউপি সদস্য ফজলুল হক ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

এবিষয়ে মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক আদালতে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম বলতে আমাকে নিষেধ করেন। তার এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের অসহযোগিতা ও আসামিদের সহযোগিতা করছেন।

তবে এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই আহসানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাদী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাদী টাকা নিয়ে মামলা মীমাংসা করে এখন পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এবিষয়ে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগ দায়েরের পরপরই থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ওই মামলার বাদীর সাথে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কিনা তা জানা নেই। তারপরও পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর