কুড়িগ্রামে আলুর মোকাম হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ও ছিনাই এলাকা। এখানকার আবাদের আলু জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাগুলোতে প্রেরণ করেন কৃষকরা। এসব এলাকায় জমি থেকে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। আর এ কারণে জেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে গত এক সপ্তাহ যাবত নতুন আলু নামতে শুরু করেছে। কিন্তু তবু আলুর দাম কমছে না।
বাজারে পুরাতন আলু থাকার পরেও নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কমার কথা থাকলেও এখনও দাম অনেক চড়া। ফলে এখানকার বিক্রেতা ও কৃষকরা খুশি হলেও ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। প্রতিবছর আগাম আলুর মৌসুমে এ এলাকায় আলুর দাম অনেক কমে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাজারে নতুন আলু নামলেও তার দাম চরা হওয়ায় অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এখনও পুরোপুরি আলু বাজারে না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কোন কোন বিক্রেতা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের রতিরাম গ্রামের কৃষক মাহবুব মিয়া জানান, আমি আগাম জাতের হল্যান্ড আলু এক বিঘা জমিতে লাগাইছি। এগুলো গত এক সপ্তাহ ধরে জমি থেকে তুলছি। ফলন ভালো হয়েছে দামও ভালো। তবে আর কয়েকদিন গেলে আরো বেশ কিছু আলু তুলতে পারবো। অপর কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, বন্যায় আমনের ক্ষতি হওয়ায় এবার লাগিয়েছি আলু।জমিতে সার, সেচ ও কীটনাশক দিয়ে খরচ হয়েছে বেশ। দাম পেলে কিছুটা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। এখনও আগাম জাতের আলু তুলতে আরো দুই সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
অন্যদিকে, প্রতিদিন বাজারগুলোতে অল্প অল্প করে নতুন আলু আসছে বলে বিক্রেতারা জানান। নতুন আলু বাজারে আসলেও পুরাতন আলুর দামের কোন কমতি ঘটেনি। সদর উপজেলার পৌর বাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন আলু গত কয়েকদিন ধরে বাজারে বেশ এসেছে। কিন্তু তবু দাম কমেনি। নতুন আলুর দাম বেশি হওয়ায় আমি বাধ্য হয়ে পুরাতন আলু কিনলাম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার