বাহেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি আবাসিক হেফজোখানার পিছন থেকে শিশু ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি,র্যাব ও ডিবি পৃথক ভাবে কাজ করছে।
রবিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, পিবিআই'র পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তদন্তকারি সংস্থার কর্মকর্তারা শিশু সদনটি ঘিরে রেখেছেন। তারা এটির আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক টাউন মসজিদের ঈমাম হাফেজ ফারুক হোসেন (৫৫), বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান ও ৪০ জন আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট হাফেজ ফারুকের কক্ষ ও সদনের আশপাশ থেকে রক্তের দাগসহ কিছু আলামত জব্দ করেছে। দুপুর ২টায় শিশুটির লাশের পোষ্টমর্টেমও করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশ মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাস স্ট্যন্ড সংলগ্ন আলহাজ রহমাতিয়া শিশু সদনের নজরানা বিভাগের আবাসিক ছাত্র হাসিবুলের লাশ উদ্ধার করে। হাসিবুলকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হাসিবুলের মা তাছলিমা বেগম এ ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, 'আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে'।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল