আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মোঃ হুসেন সোরওয়ার্দী ডাব্লু। নিজের ৩টি পুকুরে নিজের সামান্য পূজি নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে বর্তমানে সে এখন নিজের ৪টি পুকুরসহ সরকারি ১০টি পুকুরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে মৎস্য চাষ ও মৎস্য উৎপাদন করে দিনাজপুর জেলায় নিজেকে সফল মৎস্য চাষী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সরকার ঘোষিত আমিষ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জনে ২০০৪ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। এখন তিনি মৎস্যচাষীদের কাছে একজন মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
মোঃ হুসেন সোরওয়ার্দী ডাব্লু দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউপির ছাতইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে সে মৎস্য চাষের সাথে জড়িত।
এখন মৎস্য চাষী ডাব্লুর স্বপ্ন লক্ষ্মীপুর গ্রামে তার নিজস্ব পুকুরের সাথে একটি আধুনিক মানের মৎস্য হ্যাচারী ও মিনি পার্ক স্থাপন করার। এ লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
মৎস্য চাষী মোঃ হুসেন সোরওয়ার্দী ডাব্লু জানান, বর্তমানে বোচাগঞ্জের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৬ একরের সরকারী লীজকৃত আদর্শ আধেরা পুকুরটি খননের মাধ্যমে দেশীও প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছ চাষের উপযোগী করে তুলেন। সেই সাথে মাছের বৃহৎ উৎপাদনের স্বার্থে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের আধুনিক এ্যাডটর (পানিতে অক্সিজেন তৈরীতে সক্ষম) স্থাপন করেন। প্রতিদিন তিন বেলা উৎপাদিত মাছের জন্য উন্নত মানের খাদ্য দেওয়া হয়। পুকুরের চারপাশে বিভিন্ন জাতের ঔষধী গাছসহ ফলজ ও বনজ গাছ রোপন এবং পুকুরটিকে আলোকিত রাখতে সার্চলাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন রাতের আধারে উক্ত পুকুরের মূল্যবান মাছ নষ্ট না হয়। মৎস্য চাষে তার সাফল্যে এই অভাবনীয় সফলতা দেখে অনেকেই মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন