কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের জনজীবন ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
অতিরিক্ত ঠান্ডায় এখানকার মানুষের মাঝে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অতি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরও খারাপ।
শুক্রবার কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, গত দুই সপ্তাহ যাবত অব্যাহত কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ৯ উপজেলার সাধারণ মানুষজনের কষ্ট আরো বেড়েছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট দেখা যায় না। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। শীতের দাপটে ভেঙে পড়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।
নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। শীতবস্ত্র না থাকায় অনেকেই কষ্টে দিন পার করছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের ছিন্নমূল খেটে খাওয়া শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র মারাত্মক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শীত প্রচণ্ড হলেও এখনো তেমন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় শিশু ও বৃদ্ধসহ ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভর্তি হয়েছে ১৮ জন। তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই