গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাফাইশ্রী এলাকার রাজীব ধরকে (৩৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত তিনি মাদক ব্যবসা ও আরও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জেনে ফেলায় তাকে হত্যা করেন শাহীন।
আলোচিত রাজীব হত্যার ৯ দিন পর পুলিশ ঘাতক শাহীনকে গ্রেফতার করার পরে এই তথ্য উঠে এসেছে।
পুলিশ জানায়, রাজীব হত্যা মামলায় গত রবিবার বিকেলে নরসিংদীর পলাশের চরসিন্দুর বাজার থেকে শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সে রাজীবকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, কাপাসিয়া উপজেলা শহরে মাদক ব্যবসা, পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানোসহ নানা অপরাধের বিষয় জেনে ফেলার কারণেই রাজীবকে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, শাহীন কাপাসিয়া থানার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। এর জের ধরে শাহীন বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এই অপরাধ জেনে ফেলায় রাজীব ধরকে হত্যা করে শাহীন।
গ্রেফতার শাহীন ইসলাম (৩৪) নরসিংদীর মনোহরদীর চালাকচর এলাকার শহীদুল্লার ছেলে। সে কাপাসিয়ার সাফাইশ্রীর নানা আব্দুল রশিদের বাড়িতে বসবাস করে থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। অন্যদিকে নিহত রাজীব ধর সাফাইশ্রী এলাকার সুভাষ চন্দ্র ধরের ছেলে।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসাইন বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী এলাকার শ্মশানঘাটে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর লাশের পরিচয় সন্ধান করে জানতে পারি মরদেহটি সাফাইশ্রী এলাকার সুভাষ চন্দ্র ধরের ছেলে রাজীব ধরের (৩৩)।
এরপর কয়েকদিনে তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়। সে ইতোমধ্যে এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর