বগুড়ার শেরপুরে ইউপি সদস্যের নামে পাঠানো কুরিয়ারে মিলল চাইনিজ কুড়াল। মঙ্গলবার (২৬জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ছাইদার রহমান সাকিবের নামে ‘রিডেক্স হোম ডেলিভারী সার্ভিস’ কুরিয়ারে এটি পাঠানো হয়। পরে ওই ইউপি সদস্য ধারালো অস্ত্রটি থানায় জমা দিয়ে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী জিডি) করেন। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
থানার ওই জিডি থেকে জানা যায়, ঢাকার গাজীপুর জেলার চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাজার (চামুদ্দা বাজার) থেকে ‘রিডেক্স হোম ডেলিভারী সার্ভিস’ কুরিয়ারে ওই পার্সেলটি ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান সাকিবের ঠিকানায় বুকিং দেওয়া হয়। সেখানে তার মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আল আমিন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই কুরিয়ারের ডেলিভেরিম্যান পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল থেকে ইউপি সদস্যের মোবাইলে ফোন দিয়ে শেরপুর বাসষ্ট্যান্ডে আসতে বলেন একটি পার্সেল নেওয়ার জন্য। তবে তিনি কোনো পণ্যের পার্সেল অর্ডার করেননি বলে তাকে জানিয়ে দেন। এরপরও ওই ব্যক্তির একাধিকবার ফোনে ডাকার পর বাসষ্ট্যান্ডস্থ সাউদিয়া হোটেলের সামনে যান ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান সাকিব। সেইসঙ্গে পার্সেলটি গ্রহণ করেন। কিন্তু পার্সেলের প্যাকেট খুলেই একটি চাইনিজ কুড়াল দেখে হতবিহবল হয়ে পড়েন।
ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান সাকিব বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। তাই নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে ভয়ভীতি দেখাতেই হয়তো এটি করা হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর টার্গেটও থাকতে পারে। যাতে করে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা সম্ভব হয়। আর এই কারণেই তার পুরো নাম ঠিকানা ও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর সঠিকভাবেই পার্সেলের গায়ে লেখা রয়েছে। তবে যারাই এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাক না কেন-তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নিকট জোর দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) নেওয়া হয়েছে। যার নং-১১৯৫। ইতিমধ্যে ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অচিরেই এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি জড়িতদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল