চিনির চেয়ে গুড়ের মূল্য বেশী হওয়ায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কয়েকগ্রামে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা। অধিক লাভের আশায় আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা হচ্ছে এই গুড়। আর এইসব গুড় যাচ্ছে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়।
সুগারমিলের চেয়ে বেশী দাম দেওয়ায় আখচাষিরা আখ বিক্রি করে দিচ্ছেন গুড় প্রস্তুতকারকদের কাছে। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় দেদারসে ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের কপালদাড়া ও কলমদারপুর গ্রামে দেখা যায় কয়েকটি গুড় তৈরির কারখানা। কপালদাড়া গ্রামের এরশাদ আলী তার বাড়ির সামনে বসানো কারখানায় গুড় তৈরি করছেন। গুড় তৈরির সময় তিনি তরল (নালি) গুড়ের সাথে বস্তায় বস্তায় চিনি ঢালেন। গুড় তৈরিতে চিনি কেন দেয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'চিনি দিলে গুড় জমবে তাড়াতাড়ি।'
তার পাশেই গফুর আলীর কারখানায় আখের রস গরম করতে দেখা যায়। গফুর আলী জানালেন, অন্যরা যা করেন তিনি তা করেন না। আখের রস দিয়েই তিনি গুড় তৈরি করেন বলে তার দাবি।
ওই এলাকায় ৯/১০টি গুড় তৈরির কারখানা রয়েছে। গুড় তৈরিতে চিনি ও রং মেশানোর কথা অস্বীকার করে অনেকে বলেন, গুড় পরিস্কার করতে এক প্রকার গাছের পাতা ও ছাল ব্যবহার করা হয়।
কয়েকজন আখচাষি জানান, গুড়ের কারখানার মালিকরা জমি থেকে প্রায় ৪০০টাকা কুইন্টাল হিসেবে আখ ক্রয় করে নিজে নিয়ে যাচ্ছে। ওই আখের রসের সাথে চিনি ও রং মিশিয়ে গুড় তৈরি করছে। এতে করে চিনি দিয়ে গুড় তৈরী করে তারা বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারছে। কেননা বাজারে চিনির চেয়ে গুড়ের বাজার মূল্য বেশি।
এ বিষয়ে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. মোকছেদুল মোমিন সাংবাদিকদের জানায়, অচিরেই গুড় কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল