ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ৭ তারিখ থেকে রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় একযোগে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থা চালু হবে। তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে আইন ভঙ্গের কারণে দায়েরকৃত মামলার নিস্পত্তির জন্য গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরুপ আইন দ্বারা নির্ধারিত জরিমানার টাকা জমাদানের জন্য ব্যাংকে যেতে হতো। এতে চালক ও গাড়ির মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কিন্তু বর্তমানে সেটার পরিবর্তে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর মামলাগুলো ঘটনাস্থল হতে তৎক্ষনাৎ অথবা পরবর্তীতে বাংলাদেশের যেকোন স্থান থেকে জরিমানার অর্থ ইউ ক্যাশের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে।
এ পদ্বতিতে সিরাজগঞ্জ শহরে ১১৭টি এজেন্ট এবং বিভিন্ন স্থানে ১৭টি পাঞ্চ মেশিনের মাধ্যমে সরকারি ছুটির দিনগুলিতেও জরিমানার টাকা প্রদানে তাদের কোন অসুবিধায় পড়তে হবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত আলী, ইউক্যাশ বগুড়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার মাহবুব উদ্দিন প্যাটেল, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন