বগুড়ায় করোনার টিকা বিতরণ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলায় করোনার টিকা ভায়াল বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বগুড়া জেলা ইপিআই স্টোর সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি সকালে করোনার ১০ হাজার ৮০০ টিকা বগুড়ায় পৌঁছেছে। বগুড়ার সদর উপজেলার জন্য ১৭৬৩টি ভায়াল, আদমদীঘি উপজেলার জন্য ৬২০টি ভায়াল, ধুনট উপজেলার জন্য ৯২৯টি ভায়াল, দুপচাঁচিয়া উপজেলার জন্য ৫৬১টি ভায়াল, গাবতলী উপজেলার জন্য ১০১৫টি ভায়াল, কাহালু উপজেলার জন্য ৭০৬টি ভায়াল, নন্দীগ্রাম উপজেলার জন্য ৫৭৪টি ভায়াল, সারিয়াকান্দি উপজেলার জন্য ৮৬০টি ভায়াল, শাজাহানপুর উপজেলার জন্য ৯২০টি ভায়াল, শেরপুর উপজেলার জন্য ১০৫৭টি ভায়াল, শিবগঞ্জ উপজেলার জন্য ১২০৩টি ভায়াল ও সোনাতলা উপজেলার জন্য ৫৯২টি ভায়াল বরাদ্দ করা হয়েছে।
টিকা বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, বগুড়ার প্রতিটি উপজেলায় এই টিকা দেয়া হবে। ১০ হাজার ৮০০ ভায়ালের মাধ্যমে বগুড়ায় ১ম ও ২য় ডোজসহ প্রায় ৫৪ হাজার জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম সারা দেশের সাথে বগুড়াতেও শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ইপিআই স্টোরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট দুলাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী বগুড়ার আদমদীঘিতে ৬২০টি ভায়াল, ধুনটে ৯২৯টি ভায়াল, দুপচাঁচিয়ায় ৫৬১টি ভায়াল, সারিয়াকান্দিতে ৮৬০টি ভায়াল ও সোনাতলায় ৫৯২টি ভায়াল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলায় ভায়াল বিতরণ করা হবে । আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিটি উপজেলায় অবস্থিত হাসপাতালে ১ম ও ২য় ধাপে এই টিকা দেয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৯৬ জন এবং সুস্থতার সংখ্যা ৯ হাজার ৫৮৬ জন। এছাড়া নতুন করে কোনো মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যু ২৪৭ জন এবং বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৬৩ জন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই