দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চারণ ভূমির পরিমান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। তাই কৃষক বা খামারীরা পরিত্যক্ত কিংবা অল্প জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
চারণ ভূমির পরিমান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করতোয়া নদীতে জেগে ওঠা চরে উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাসসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হচ্ছে। গবাদি পশুর জন্য নেপিয়ার অত্যন্ত উপাদেয় ও পুষ্টিকর খাদ্য। বিশেষ করে দুগ্ধবতী গাভীর জন্য এ জাতীয় সবুজ ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। তবে নেপিয়ার ছাড়াও দেশে পারা, জাম্বু, জার্মান ও পাপচন ঘাসও চাষ করা হয়।
স্থানীয় কৃষক রুবেলসহ কয়েক খামারী জানান, 'আগে গরুকে খাওয়ানোর জন্য চারণ ভূমি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে চারণ ভূমির পরিমান হ্রাস পাওয়ায় অতি অল্প জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষে আগ্রহী হচ্ছি'।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় নেপিয়ার ঘাস খুব ভালো হয় এবং পুষ্টিমানও বেশি থাকে। কারণ এ ঘাসটি অল্প সময়ে বৃদ্ধি পায় এবং চার বৎসর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও করোনার এই সময়ে খাদ্য উৎপাদনে মানবদেহের পুষ্টি চাহিদা বিবেচনা করে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা ব্যাপকহারে সবজি চাষ করছেন। এসব বিবেচনায় নদীতে জেগে ওঠা চরে সবজি ও নেপিয়ার ঘাস চাষে ফলনও ভাল পাওয়া যায়।
এসব চরের জমিতে আগাম জাতের আলু, পুঁইশাক, ধনিয়া পাতা, লালশাক, লাউশাক, মিষ্টি কদু, চাষ করেও অনেকে লাভবান হয়েছে।
বিডি প্রিতিদিন / অন্তরা কবির