বিজয়ী ঘোষণার মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যা মামলায় পুলিশ ঘাতক বুদ্দিনের ছেলে মামলার অন্যতম আসামি সাব্বির হোসেনকে (২০) বিদেশী অটোপিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে।
এছাড়াও একই দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি শাহেদনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত পান্নু বেপারীর ছেলে রতনকে (২২) কাঠেরপুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনিয়ে কাউন্সিলর তরিকুল হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল (এএসপি) স্নিগ্ধ আক্তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর তরিকুল হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন সদর উপজেলার ফকিরতলা ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ অফিসার এসআই জাফর, এসআই সাইফুল ও এএসআই হাসিবুলসহ ফোর্স নিয়ে ব্রিজ এলাকা ঘিরে ফেলে সাব্বির হোসেনকে আটক করেন। এসময় সাব্বিরের কাছ থেকে একটি বিদেশী অটোপিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আটক সাব্বির হোসেন মামলার এজাহার ভুক্ত ৬নং আসামী।
তিনি আরো জানান, একইদিনে সাহেদনগর বেপারী পাড়া মহল্লায় অভিযান চালিয়ে মামলা তদন্তে প্রাপ্ত আরেক আসামি রতনকে কাঠেরপুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুদ্দিনসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহা উদ্দিন ফারুকী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, অভিযান পরিচালনায় থাকা এসআই সাইফুল ইসলাম ও এসআই আবু জাফরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড (নতুন ভাঙ্গাবাড়ী- বেপারী পাড়া-শাহেদনগর) কাউন্সিলর পদে ৮৫ ভোটে বিজয়ী হন তারিকুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় উল্লাস করার সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তরিকুল ইসলাম মারা যান। ঘটনার দুদিন পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান হৃদয় বাদী হয়ে পরাজিত প্রার্থী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বুদ্দিনসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন