২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৫১

ডাকাতিয়া নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব

লাকসাম প্রতিনিধি

ডাকাতিয়া নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব

কুমিল্লার লাকসাম অঞ্চলে ডাকাতিয়া নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে। পানি কমার সাথে সাথে মৎস্য শিকারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। নদীটির লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট অংশে দলে দলে মানুষ মাছ ধরছে। 

নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা জানায়, 'একসময় ডাকাতিয়া নদীতে পুরো বছর বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নদীটি সংকুচিত হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না।' চলতি শীত মৌসুমেই নদীটির বিভিন্ন স্থান শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু বা কোমর সমান পানি। তেমনি লাকসামের তারাপাইয়া, সাতবাড়িয়া ও ইছাপুরা এলাকাতেও একই অবস্থা বিরাজমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার তারাপাইয়া, সাতবাড়িয়া ও ইছাপুরা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে শতাধিক মানুষ মাছ ধরার মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে। মাছ ধরার এমন দৃশ্য সকলের নজর কেঁড়েছে। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল।

'মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেয়াটাই ছিল বেশি আনন্দের,' জানালেন কয়েকজন মৎস্য শিকারী। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম ছিলনা তারাও নদীতে নেমে উৎসবে অংশ নেয়। তাদেরকে খালি হাত দিয়েই কাদার মধ্যে মাছ খুঁজতে দেখা যায়। মাছ ধরা শেষে মৎস্য শিকারীদের উল্লসিত দেখা গেছে। 
প্রায় প্রত্যেকেই কমবেশি মাছ শিকার করেছেন বলে জানান। 

নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, 'ডাকাতিয়া নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার আনন্দটা ছিল ব্যতিক্রম। মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেওয়াটা ছিল সবার কাছে আনন্দের।'

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয় লাকসাম, মনোহরগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ডাকাতিয়া নদীকে খননের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে পানি সম্পদ সচিব ডাকাতিয়া নদী পরিদর্শন করেছেন। খনন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পূর্বের ন্যায় ডাকাতিয়া নদীর নাব্যতা ও জৌলুস ফিরে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির   

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর