রংপুরের পীরগঞ্জে গত এক সপ্তাহে গভীর নলকুপ ও মিল-চাতালের কমপক্ষে ১২টি মিটার চুরি হয়েছে। চোরদের দাবি অনুযায়ী বিকাশে টাকা দিয়ে চুরি হওয়া মিটার ফেরত এনেছেন কেউ কেউ। চুরি যাওয়া মিটারের আওতায় চলতি বোরো মৌসুমে এলাকার অনেক কৃষক ক্ষেতে পানি সেচ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
চুরি হওয়া মিটারের মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার হরিপুর সিনিয়র মাদ্রাসা, হরিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি মিটার এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার প্রাণনাথপুর, হরিপুর ও পঁচারপাড়া এলাকায় মিজানুর রহমানের গভীর নলকূপের মিটার, হারুন মিয়ার একটি, কাইয়ুম মিয়ার দুইটি, রঞ্জু মিয়ার একটি ও আব্দুল জলিলের একটিসহ মোট নয়টি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি গেছে। গভীর রাতে মিটারগুলো চুরি হয়। ওই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে ১৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এর সপ্তাহখানেক আগে গুর্জিপাড়া বাজার থেকে আব্দুল কাফি মিয়ার একটি, ফারুক মিয়ার একটি ও আবু তাহের মন্ডলের একটি মিল-চাতালের বৈদ্যুতিক মিটার, জগদিশ চন্দ্রের ছ’মিল, ইঞ্জিল মিয়া ও একরামুল মিয়ার গভীর নলকুপের মিটারও চুরি হয়ে যায়।
হরিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, প্রাণনাথপুরের শহিদুল ইসলাম ও পঁচারপাড়ার সাগর মিয়া জানান, মিটার চুরি যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হযে পড়ায় তারা জমিতে পানি সেচ দিতে পারছেন না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হয়রানিসহ নতুন করে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত গুনতে হবে তাদের। তবে মিটার চোররা ভুক্তভোগীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে চুরি যাওয়া মিটার ফেরত দিচ্ছে। পীরগঞ্জ থানায় চোরের মোবাইল নম্বরসহ বিকাশ নম্বর দিয়ে একাধিক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
তবে ভেন্ডাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস ইনচার্জ (এজিএম) মমিমুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীদের বক্তব্য ঠিক নয়। তবে প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবার রহমান জানান, মিটার চোরদের ধরতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল