আদালতে বিচারাধীন পাঁচটি মাদক মামলার আসামি রুবেল হোসেন (৩১) কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে রুবেল ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ১০৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬৪০ ভোট।
জানা গেছে, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে ক্রসফায়ারের ভয়ে দুই বছর ভারতে পালিয়ে ছিলেন রুবেল। সেখানে তিনি বনগায়ে বসবাস করতেন। ২০১৯ সালের ৫ মে তারিখে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে রুবেল ও তার চাচাতো ভাই সজল (২৩) কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
কালীগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি ইউনুচ আলী জানিয়েছিলেন, রুবেল শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রির সাথে জড়িত ছিল। তিনি তার চাচাতো ভাই সজলকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরাট সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।র্যাব ও পুলিশের ভাষ্য মতে, বিভিন্ন সময়ে তার বাড়িতে পুলিশ, র্যাব ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একাধিকবার অভিযান চালিয়ে অনেক মাদকদ্রব্য উদ্ধারও করে। মাদক দ্রব্য উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে একে একে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এখন বিচারাধীন আছে পাঁচটি মাদক মামলা। রুবেল হোসেন তার হলফনামায়ও পাঁচটি মাদক মামলা থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এবিষয়ে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর রুবেল হোসেন মামলাগুলো ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করলেও পরে তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৫ মে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তাবলীগ করেন। ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার কারণে মানুষ তাকে পছন্দ করে ভোট দিয়েছেন। তিনি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন বলে দাবি করেন।
একাধিক মাদক মামলার আসামি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত হলে তার মনোনয়ন বাতিল হতো। যেহেতু তার মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে, সেহেতু তার কাউন্সিলর হতে বাধা ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই