করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও একযোগে লকডাউন কার্যকর করতে নামে স্থানীয় প্রশাসন। লকডাউনের প্রথম দিন অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রেখেছেন দোকানীরা। সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনেকেই হোটেল রেস্তরাসহ বিভিন্ন দোকান পাট খোলা রেখে ক্রয় বিক্রয় করেছেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসন টহলে থাকলেও তা কঠোরভাবে কার্যকর হয়নি।
সকাল দশটা থেকে দিনভর একই চিত্র জেলার অনেক হাট বাজারে দেখা গেছে। অনেকেই দোকানের অর্ধেক খুলে রেখে কেনাবেচা করেন। পুলিশের গাড়ি কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি দেখলেই দোকানের শার্টার বন্ধ করে দেন আবার গাড়ি চলে যাওয়ার পর খুলে দেয়া হয়। এক কথায় ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লকডাউন চলতে দেখা যায়। অনেকেই মাস্ক না পরে যত্রতত্র ঘুরতে দেখা যায়। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা করছেন না।
জেলা শহরের পৌর বাজার,জিয়া বাজার,খলিল গঞ্জ বাজার,ত্রিমোহণী বাজার,ভকেশনাল মোড় এলাকাসহ বিভিন্ন বাজারে একই চিত্র দেখা যায়।এছাড়াও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তায় যান চলাচল করে অটোরিক্সা,ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা।এ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান,আমরা প্রথমদিন লোকজনকে সতর্ক করে দিচ্ছি।প্রথমদিনে সকলকে সতর্কতামূলক বলা হচ্ছে।২য়দিন থেকে লকডাউন পরিস্থিতি কঠোরভাবে মানা হবে। আইন অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায় করার কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করার সময় মাস্ক না পরার অপরাধে ১১জন ব্যক্তির নামে ১১টি মামলা এবং নগদ ১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার