কুমিল্লায় সূর্যমুখীর মাঠে দুলছে লাখো সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখীর ভালো ফলনে কৃষকের মুখ জুড়ে এখন হলদে হাসি। এই নতুন ফসল থেকে ভালো লাভ পাবেন বলে তাদের আশা।
সূর্যমুখীর এমন বর্ণিল দৃশ্য চোখে পড়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, দেবিদ্বার, লালমাই, তিতাস, হোমনা, চান্দিনাসহ বিভিন্ন উপজেলায়। তবে অতি উৎসাহী লোকজন জমিতে প্রবেশ করে ছবি তুলতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে বা কেউ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম উত্তর রামপুর। গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল করিম ১১০ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তিনি বলেন, 'কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ সহযোগিতা পেয়েছেন। ভালো ফসল হয়েছে। এখন ফসল ঘরে তোলার পালা। সূর্যমুখী চাষের কারণে এলাকায় তার পরিচিত বেড়েছে। আশা করছেন ফসল থেকে ভালো লাভ পাবেন।'
স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, 'কয়েকজন কৃষক সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তাদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করছেন সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হবে।'
দেবিদ্বারের গুণাইঘরে সূর্যমুখীর জমি দেখতে আসা দর্শনার্থী জিএম ফারুক বললেন, 'আমাদের কাছাকাছি বিনোদনের বড় কোন স্থান নেই। সূর্যমুখীর জমিকে ঘিরে চিত্ত বিনোদনের কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।'
সূর্যমুখী খেত দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন অনেকেই। এখানে চটপটি, বাদাম, চা’সহ নানা খাবারের পসরা নিয়ে বসেন হকাররা। জমি এখন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শহীদুল হক জানান, 'কুমিল্লায় ১২৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির