লকডাউন কার্যকর করতে বগুড়া শহরে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটগণ।
এছাড়া শহরের সাতমাথা, নবাববাড়ী সড়কে কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয় বিক্রয়ের আহবান জানান প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট নাছিম রেজা,তাসনিমুজ্জামান,ইশরাত জাহান, শাহাদত হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলু, রাজাবাজারের ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও পহেলা রমজানে সর্বাত্বক লকডাউনের প্রথম দিন বগুড়া শহরে জনসমাগম কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নানা অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বাহিরে এসেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে ট্রাক এবং শহরের বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক, অটোরিক্সা, চলাচল করেছে। শহরের সকল মার্কেট ও বিপনী বিতান বন্ধ রয়েছে। বৃহৎ কাঁচাবাজার ফতেহ আলী বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের শহরের সাতমাথা, নবাববাড়ী, সার্কিট হাউস সড়কে বসানো হয়েছে। তবে পাইকারী বাজার রাজাবাজারে আগের মতই বেচাকেনা চলছে। অন্যান্য বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বাজার স্থানান্তরের বিরোধিতা করে মাইকিং করায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার