কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব বয়ে গেছে। এতে জেলার কয়েকটি উপজেলার সদ্য বেড়ে ওঠা ভুট্টা ও ইরি-বোরো ধান খেতসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও উলিপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে গাছের নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মমির উদ্দিন (৪২)। তিনি পেশায় একজন জেলে। তিনি উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর কুমারপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
শুক্রবার রাতে ঝড়ের সময় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি ইউক্যালিপ্টাস গাছ তার ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। এ ব্যাপারে উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এদিকে, রাতের প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে জেলার রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় সদ্য বেড়ে ওঠা ইরি ও বোরো ধান, ভূট্টা খেত, শাক-সবজি ও বেগুন খেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। সবচেয়ে কৃষিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির পরিমান নিরুপন করেছি। তার মধ্যে রৌমারীতে ভূট্টা খেত ৬ হেক্টর, ইরি ২৮জাতের ধান ৮০হেক্টর বাতাসে শুয়ে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন শাক-সবজি বিশেষ করে বেগুন খেত প্রায় ১১ হেক্টর জমির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এদের অনেকটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ