আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ঘোষণায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। এতে করে তীব্র তাপদাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
তবে দোকানপাট খোলার ঘোষণায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সেভাবে কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।
রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রী মো. আবু তৈয়ব বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ফেরির টিকিট কেটে ফেরিঘাটে বসে রয়েছি। এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারিনি। ফেরি আসার সাথে সাথে সবাই ফেরিতে উঠে যায় সে কারণে এখানেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকচালক (মিল্ক ভিটার চালক) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট। জরুরি পণ্য পরিবহনের জন্যও এখানে ১০/১২টি ফেরির প্রয়োজন হয়। সেখানে ২/৩টি ফেরি দিয়ে এসব যানবাহন পারাপারের নামে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এরুটে ফেরি বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
ঢাকামুখী নারী যাত্রী মোছা. খালেদা আক্তার বলেন, সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি দৌলতদিয়াতে আসা মাত্রই দ্রুততার সাথে যাত্রী ও গাড়ি ওঠে যায়। যে কারণে নারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দোকানপাট ও শপিংমল খোলার কারণে অনেক যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসছে। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, দোকানপাট খোলার ঘোষণায় ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের বেলায় কতগুলো ফেরি চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
