বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুরকে টিকা দান (এমডিভি) কার্যক্রম এর অবহিতকরন সভায় দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ বলেছেন, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরন ব্যাধি। বিশ্বে প্রতি বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। জলাতঙ্ক রোগ মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁরের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শেয়াল, বেজি, বানরের কামড় বা আচঁরের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ লক্ষ মানুষ কুকুর, বেড়াল, শেয়ালের আচঁরের শিকার হয়ে থাকে যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমানে নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে। জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সোমবার দিনাজপুর সদর উপজেলা সভা কক্ষে কুকুরের ২য় ডোজ টিকাদান প্রদান উপলক্ষে দিনাজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আয়োজনে এবং জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ এসব কথা বলেন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান জুয়েল, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরোজ উল্লাহ।
বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মুখ্য আলোচক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকা ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর নাদিম মাহমুদ। অবহিতকরন সভায় জিও এনজিও, স্বাস্থ্য প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও কাহারোল, ফুলবাড়ি, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে কুকুরের টিকাদান-এমডিভি (২য় রাউন্ড) কার্যক্রম ২০২১ এর অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে জলান্তক নির্মূলের লক্ষে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ব্যাপক হারে কুকুরকে টিকা দান (এমডিডি) কার্যক্রম আগামী ৬ মে থেকে শুরু হয়ে ১০মে পর্যন্ত চলমান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন