গত ৬ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাফতরিক নথিতে এমন একটি তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘সত্য ও সঠিক’ নয়। আজ রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে সেই নথির একটি কপি এসেছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, তথ্যটি দাফতরিক নোট আকারে অনুমোদনের জন্য সদ্য সাবেক উপাচার্যের (ভিসি) কাছে উপস্থাপন করা হয় তারই মৌখিক নির্দেশে। তিনিই আবার সেই নোটে অনুমোদন দেন।
সদ্য সাবেক ভিসির সঙ্গে কাজ করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিধি অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত অফিস আদেশ ও নিয়োগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই থাকার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেই। এই অনিয়ম ঢাকতেই দাফতরিক নোটে আশ্রয় নেয়া হয় অসত্য তথ্যের।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে আসা সেই নোটের উপস্থাপনপর্বে লেখা হয়েছে, ‘উপাচাযের্র মৌখিক নির্দেশে নিম্নোক্ত নোট উপস্থাপন করা হলো।’
এরপর নোটের মূলে লেখা রয়েছে, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায় বিভিন্ন পদে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষরের জন্য সংস্থাপন শাখার অফিসার ইউনিটের উপ-রেজিস্ট্রার জনাব মো. ইউসুফ আলীকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।’
উপস্থাপনের পর শেষাংশে ভিসি সই করে নোটটি অনুমোদন করেন। আর সেই নোট ব্যবহার করেই নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তবে রাবি রেজিস্ট্রার মো. আবদুস সালাম জানান, নোটে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা মোটেও ‘সত্য ও সঠিক’ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে যাইনি, পদত্যাগ করিনি, এমনকি আমাকে অপসারণও করা হয়নি। সে কারণে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত- এমন নোট লেখার কোনো সুযোগ নেই।
রেজিস্ট্রার আরও জানান, এই নিয়োগের ব্যাপারে শুরু থেকে তিনি অবগত ছিলেন না। শেষ সময়ে তাকে বলা হলেও প্রক্রিয়া বিধি-বিধান অনুযায়ী না হওয়ায় তিনি এতে সই করতে রাজি হননি। আর সে কারণেই রাতারাতি এমন দাফতরিক নোটের আয়োজন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার অন্যসব নথিপত্রের সঙ্গে এটির অনুলিপিও সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর