চলমান করোনা পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়া নিয়ে মৌলভীবাজারে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে চালকরা গাড়ি ভরে যাত্রী বহন করছেন। পাশাপাশি ভাড়াও দিগুণ আদায় করছেন। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত যাত্রী ও চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগে আছে। অনেক সময় চালক সিন্ডিকেটের কাছে হার মানতে হয় যাত্রীদের। কোথায়ও কোথায়ও যাত্রীরা দিগুণ ভাড়া দেয়ার পরেও হচ্ছেন লাঞ্ছিত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসে ৪০ টাকার ভাড়ায় চালকরা আদায় করে ৬০ টাকা, মৌলভীবাজার-বালাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ৩৫ টাকার ভাড়ায় আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা ও মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল রোডে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ৪০ টাকার ভাড়ায় আদায় করা হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব ধরণের যান বাহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকলেও জেলার কোথায়ও এ নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। যে যার মতো করে যাত্রী বহন করছে।
এদিকে মৌলভীবাজার পৌর শহরের ভেতরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও টমটম চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছেন দ্বিগুণ ভাড়া। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন শহরের মধ্য ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ।
যাত্রী তকবির মিয়া, আজমল মিয়া, লিটন দাস ও জুবেল সহ অনেকেই বলেন, আমরা কর্মজীবী নিম্নআয়ের মানুষ। কাজের জন্য প্রতিদিন শহরে আসতে হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিটি যানবাহন গুলোকে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকলেও চালকরা এ নির্দেশনা না মানে গাড়ি ভরে যাত্রী বহন করছে। আমাদের কাছ থেকে ভাড়াও দ্বিগুণ আদায় করা হয়। কেন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ভাড়া নেয়া হচ্ছে এ বিষয় চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা একত্রিত হয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করে।
মৌলভীবাজার জেলা বাস সমিতির সভাপতি মো. ফজলুর রহমান বলেন, প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত এধরনের গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। কোথাও কোথাও ভাড়া বেশি আদায়ের খবর আমাদের কাছে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর