লকডাউনে সব খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু মাছের দাম কমেছে। তবে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে মৎস্য চাষিদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় ছোট জাতের মাছ অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই দেশীয় জাতের মাছের সংরক্ষণ, আবাদ ও সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই।
আজ বুধবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ওয়ার্কশপে মৎস্য বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ, মৎস্য চাষি, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং মৎস্যজীবীগণ এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) এবং অ্যাকুয়া কালচার এলায়েন্স (বিএএ) এর যৌথ উদ্যোগে মৎস্য বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে। ওয়ার্কশপ অনফুড সেফটি ইন ফিস শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক মো. নুরুল আমিন।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্য অফিসার শায়লা শারমিন। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার এলায়েন্স (বিএএ) পরিচালক নূর করিম, সাংবাদিক নঈম আজাদ এবং সহকারী উপজেলা মৎস্য অফিসার নীলিমা আক্তার।
এর আগে দাউদকান্দিতে একই কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আরও একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দেশীয় ছোট মাছের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক শরীফ উদ্দিন।
প্রধান আলোক ছিলেন একই অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক মো. নুরুল আমিন। সভাপতিত্ব করেন দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিসি নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ ঘোষ এবং বিএএ পরিচালক নূর করিম প্রমুখ। এসব কর্মশালায় মৎস্য চাষি, মৎস্য বিক্রেতা, পুকুর মালিকসহ ৮০ জন মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর